পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লাল শাড়ির মোহ

ডেঙ্গু জ্বরে কাবু হওয়ার পর হাসপাতালের পাঁচটা দিন যেনো একেকটা যুগের মতো কাটছিল নাসিরের জন্য। ঢাকায় থাকতে তার অসুস্থ শরীর নিয়ে সবসময় একটা অস্থিরতা কাজ করছিল, কারণ সে জানত প্রিয়ন্তিকার ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা চলছে। পাঁচটা দিন হাসপাতালে থাকার পর নাসির একটু সুস্থ হয়ে রিলিজ নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি চলে যায়।  পরের দিন সকালে নাসির ঘুম থেকে উঠে দেখে প্রিয়ন্তিকা তার শাড়ি পরা ফটো পাঠিয়েছে! সেদিন ভাইবা পরীক্ষায় থাকায় সেদিনের জন্য প্রিয়ন্তিকা শাড়ী পরেছে ফর্মাল লুকের জন্য। একটা লাল শাড়ী। যখন নাসির শাড়ি পরা ছবি দেখলো, তখন নাসিরের মন যেনো ভরে উঠল আনন্দে। কিন্তু ছবির সৌন্দর্যে তৃপ্তি পাচ্ছিল না! সে প্রিয়ন্তিকাকে সামনে থেকে দেখতে হবে এটা ঠিক করল। অসুস্থ শরীরের তোয়াক্কা না করে নাসির প্রায় ৪০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রিয়ন্তিকার ক্যাম্পাসে গেল।"পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়"  গন্তব্য ক্যাম্পাসের লেকের পারে, যেখানে গিয়ে কল দিল প্রিয়ন্তিকাকে"লেকের পারে আসো তো একটু।"  পাহাড়ি হাওয়ার মতো শান্ত একটা মুহূর্ত। সামনে এসে দাঁড়ালো প্রিয়ন্তিকা একটা লাল শাড়ি পরে, হাতে চুরি, চোখে হালকা কাজল আর কপাল...

কল্পনায় অনুভব

আকাশে নেমে এসেছে হালকা মেঘ, আর রাস্তার দুপাশে কাশফুলের সমুদ্রের মতো সাদা ঢেউ। বাতাস মাতাল হয়ে বইছে, যেন আমাদের প্রেমের গল্পেরই অংশ। প্রিয়ন্তিকা আমার পাশে, তার হাতটি আমার হাতে, আমরা যেন পৃথিবীর সমস্ত কিছু ভুলে, একে অপরের মাঝে ডুবে আছি।তার পায়ে বাঁধা নূপুরের মিষ্টি ঝংকার প্রতিটি পদক্ষেপের সাথে আমার হৃদয়ে প্রেমের সুর তুলে দিচ্ছে। সে হালকা হেসে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, মাঝে মাঝে বাতাসে তার চুল উড়ে এসে আমার মুখ ছুঁয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে মুগ্ধ চোখে দেখছি, মনে হচ্ছে পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্য যেন আজ এই এক মেয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তার প্রতিটি পদক্ষেপে যেন পৃথিবী আরও মিষ্টি হয়ে উঠছে, কাশফুলের সাদা গালিচা আর নূপুরের সুরেলা সুরে আমাদের পথটা যেন এক স্বপ্নের মতো।প্রিয়ন্তিকা হঠাৎ আমার দিকে ফিরে তাকায়, তার গভীর চোখগুলো আমার চোখের দিকে স্থির হয়ে থাকে। সে একটু মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে, "জানো, এই মুহূর্তগুলো আমি সারাজীবন মনে রাখবো। তোমার সাথে এমন এক রাত, যেখানে কাশফুল আর বাতাসে আমাদের চারপাশটা রোমান্টিকতায় ভরা।"আমি তার হাত আরও শক্ত করে ধরে বলি, "তুমি পাশে থাকলে প্রতিটা মুহূর্তই আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়...

প্রিয়ন্তিকার চিঠি, এক পৃষ্ঠায় ৩২ বার লেখা ভালোবাসি!

আজ পহেলা সেপ্টেম্বর, বিশ্ব চিঠি দিবস। এই বিশেষ দিনে ফিরে তাকাতে চাই আমার জীবনের সেই চিঠির গল্পে, যা আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। চিঠি, যা একসময় ছিল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম, আজকের ডিজিটাল যুগেও তার আবেদন একটুও কমেনি। বরং চিঠির মধ্যে যে ব্যক্তিগত স্পর্শ, যে আন্তরিকতা থাকে, তা অন্য কোনও মাধ্যমের সঙ্গে তুলনীয় নয়। আমার জীবনের এক বিশেষ মুহূর্ত চিরকাল চিঠির সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে, বিশেষত সেই চিঠির সঙ্গে, যা আমি প্রিয়ন্তিকার কাছ থেকে পেয়েছিলাম। ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর। আমার মনের গভীর থেকে উঠে আসা কিছু কথা শেয়ার করেছিলাম ফেসবুকে। লিখেছিলাম: "প্রিয়ন্তিকা, কেমন আছ? তোমার অপেক্ষায় কাটছে আমার দিন। আমার মনের ঈশান কোণে মেঘ করে আছে। কত দিন দেখি না তোমায় বলতে পারো! পাখির ডানায় ভর করে চলে এসো আমার কাছে। শোন, শরীরের যত্ন নিও, কেমন। আর অবশ্যই তোমার এই পাগলকে সময় করে চিঠি দিও। ভালো থেকো। আজ রাখছি। ইতি- তোমার ভালোবাসা। সেই পোস্টের মাধ্যমে প্রিয়ন্তিকার কাছে চিঠির জন্য এক আবেগময় আহ্বান জানিয়েছিলাম। তখন হয়তো বুঝতে পারিনি, সেই চিঠির জন্য আমাকে অপেক্ষা করতে হবে দীর্ঘ ৪৬ সপ্তাহ! ২০২১ সালের ১৩ সেপ্...