প্রিয়ন্তিকার চিঠি, এক পৃষ্ঠায় ৩২ বার লেখা ভালোবাসি!
২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর। আমার মনের গভীর থেকে উঠে আসা কিছু কথা শেয়ার করেছিলাম ফেসবুকে। লিখেছিলাম: "প্রিয়ন্তিকা, কেমন আছ? তোমার অপেক্ষায় কাটছে আমার দিন। আমার মনের ঈশান কোণে মেঘ করে আছে। কত দিন দেখি না তোমায় বলতে পারো! পাখির ডানায় ভর করে চলে এসো আমার কাছে। শোন, শরীরের যত্ন নিও, কেমন। আর অবশ্যই তোমার এই পাগলকে সময় করে চিঠি দিও। ভালো থেকো। আজ রাখছি। ইতি- তোমার ভালোবাসা।
সেই পোস্টের মাধ্যমে প্রিয়ন্তিকার কাছে চিঠির জন্য এক আবেগময় আহ্বান জানিয়েছিলাম। তখন হয়তো বুঝতে পারিনি, সেই চিঠির জন্য আমাকে অপেক্ষা করতে হবে দীর্ঘ ৪৬ সপ্তাহ!
২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। অবশেষে সেই চিঠি এল। এক পৃষ্ঠার একটি চিঠি, কিন্তু সেই চিঠির গুরুত্ব ছিল অসীম। প্রিয়ন্তিকা সেই চিঠিতে ৩২ বার লিখেছিল "ভালোবাসি।
প্রতিটি 'ভালোবাসি' যেন আমার হৃদয়ের গহীনে স্পর্শ করেছিল। সেই এক পৃষ্ঠার মধ্যে লুকিয়ে ছিল তার সমস্ত ভালোবাসা, যা প্রতিটি অক্ষরে অনুভব করেছি। চিঠির এই গল্প শুধুমাত্র এক টুকরো কাগজের গল্প নয়, এটি আমাদের সম্পর্কের গভীরতার এক নিদর্শন। যখন সেই চিঠি হাতে পেলাম, মনে হলো, প্রতিটি 'ভালোবাসি' শব্দটি আমার মনে একটি গভীর ছাপ রেখে যাচ্ছে। চিঠির মাধ্যমে প্রিয়ন্তিকা তার ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ করেছিল, এবং আমি অনুভব করেছিলাম সেই চিঠির প্রতিটি শব্দের আন্তরিকতা।এই চিঠি আমার জীবনের এক অমূল্য স্মৃতি হয়ে থাকবে।
বিশ্ব চিঠি দিবসে এই চিঠির গল্প শেয়ার করার মাধ্যমে, আমি আরও একবার মনে করিয়ে দিতে চাই, চিঠির আবেদন কখনোই হারিয়ে যায় না। বরং সময়ের সাথে সাথে চিঠির মাধুর্য আরও বাড়তে থাকে, এবং আমাদের হৃদয়ের গভীরে গেঁথে থাকে।
আজ, এই চিঠি দিবসে, সেই বিশেষ চিঠির স্মৃতির জন্য এই পোস্ট, যা আমার জীবনের সবচেয়ে মধুর মুহূর্তগুলোর একটিকে চিরকাল ধরে রেখেছে। চিঠি, যা শুধুই কাগজের টুকরো নয়, বরং ভালোবাসার এক নিঃশব্দ সাক্ষী।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন