পোস্টগুলি

একমাত্র প্রিয়ন্তিকা ফুল নিয়ে, আমার কোনো অভিযোগ নেই।

ছবি
যেসব ফুলের প্রতি আমার অভিযোগ!  ১. রজনীগন্ধা – ঘ্রাণ এতটাই তীব্র, রাতে মাথা ধরে যায়। ২. গোলাপ – বাহিরে সুন্দর, ভেতরে কাঁটা! মানুষও কখনো এমন হয় না? ৩. শিউলি – সকালে উঠেই ওদের ঝরে পড়া দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। ৪. সূর্যমুখী – শুধু সূর্যের দিকেই তাকিয়ে থাকে, কখনো পাশে তাকায় না—একটু অহংকারী মনে হয়! ৫. বেলি ফুল – একটু বেশি ঘন ঘন ঘ্রাণ ছাড়ে, অনেকের মাথাব্যথা বাড়িয়ে দেয়। ৬. কামিনী ফুল – সন্ধ্যার পর ঘ্রাণ ছড়াতে ছড়াতে চারপাশে অদ্ভুত একটা ঘোর লাগিয়ে দেয়। ৭. ডালিয়া – দেখতে দারুণ, কিন্তু গন্ধ নাই! শুধু রূপ দিয়ে কী হবে? ৮. হাসনাহেনা – এত রাত করে ঘ্রাণ ছড়ায় কেন? ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ৯. চন্দ্রমল্লিকা – ফুল তো ফুটে, কিন্তু যত্ন না নিলে মুখ ফিরিয়ে নেয়—দম্ভ আছে বোধহয়! ১০. কুমুদ/শাপলা – জল ছাড়া কিছুতেই বাঁচে না! একটু অ্যাডজাস্টমেন্ট শিখলে ভালো হতো। তবে… আমার কোনো অভিযোগ নেই, শুধু একমাত্র প্রিয়ন্তিকা ফুল নিয়ে। প্রিয়ন্তিকা এমন এক ফুল— যার ঘ্রাণ মনকেও ঘুম পাড়ায়, আবার ভালোবাসায় জাগিয়েও তোলে। যার রঙে নেই কোনো কৃত্রিমতা, একদম হৃদয়ের মতো স্বচ্ছ। যার চোখে আছে শিউলির ভোর, আর হাসিতে সূর্যমুখীর আলো। সে গোলাপের মতো নয়—...

আজ এক প্রিয়ন্তিকার জন্মদিন

ছবি
  অনেক দিন আগের কথা। আকাশ তখন নীল ছিল, নদীর জল ছিল স্বচ্ছ, আর বাতাসে ছিল এক অদ্ভুত মিষ্টি গন্ধ। ঠিক সেই সময় পৃথিবীতে জন্ম নিলো এক প্রিয়ন্তিকা। তার জন্মের দিন  প্রকৃতি নতুন সাজে সেজেছিল। পাখিরা গাইতে শুরু করেছিল নতুন গান, আর ফুলেরা তাদের পাপড়ি মেলে দিয়েছিল তাকে স্বাগত জানানোর জন্য। সে এক অদ্ভুত দিন ছিল। সূর্য সেদিন আগের চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল ছিল, যেন প্রিয়ন্তিকার সৌন্দর্যের প্রশংসা করতে গিয়ে নিজেই একটু লজ্জা পেয়েছিল। চাঁদ সেদিন আকাশের এক কোণে মুখ লুকিয়ে ফেলেছিল। কারণ সে বুঝেছিল, আজ থেকে সে আর সবচেয়ে সুন্দর নয়। এই পৃথিবীতে এমন একজন এসেছে, যার শ্যামল রঙের মায়াবী সৌন্দর্য পৃথিবীর সব সৌন্দর্যকে ছাপিয়ে যাবে। প্রিয়ন্তিকা বড় হতে লাগল। সে শুধু বড় হয়নি, বরং তার চারপাশের সবাইকে নতুন এক ভালোবাসার পৃথিবী উপহার দিল। তার চোখে ছিল অদ্ভুত এক মায়া। যে একবার সেই চোখে তাকাত, সে আর ভুলতে পারত না। তার হাসি ছিল সেই নদীর মতো, যে আপন গতিতে বয়ে চলে আর তার পাড়ে বসে থাকা ক্লান্ত পথিকের মন ভরিয়ে দেয়। আজ সেই প্রিয়ন্তিকার জন্মদিন। আজকের দিনটা শুধুই তার। হয়তো আকাশ আজও তার জন্য আরও নীল হবে, বাতাসে মিশে যা...

সকালের আলো, দুপুরের মায়া, রাতের শান্তি

ছবি
নাসিরের জীবনে প্রিয়ন্তিকা যেন এক আলোকবর্তিকা। প্রতিদিন সকালে তার দিন শুরু হয় প্রিয়ন্তিকার মুখের মিষ্টি হাসি দেখে। ঘুম থেকে ওঠা মাত্রই ফোনের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে সেই প্রিয় মুখ, যার ছোঁয়ায় নাসিরের দিনটা নতুন করে বাঁচতে শুরু করে। আজও ব্যতিক্রম নয়। চোখ খুলেই সে দেখলো প্রিয়ন্তিকা তার জন্য একটি ছবি পাঠিয়েছে। খোলা চুল, কপালে একটি ছোট্ট লাল টিপ, চোখে আলতো হাসি। নাসিরের হৃদয়টা যেন নতুনভাবে স্পন্দিত হলো। সে ছবিটা দেখে মনের ভেতর অনুভব করল আজকের দিনটা মধুর হবে। নাসির জানে, প্রতিদিন সকালে প্রিয়ন্তিকার সেই ছবিটাই তার জীবনে সবচেয়ে বড় উপহার। যে ছবিতে তার প্রিয়তমার মিষ্টি হাসি লুকিয়ে থাকে, তা যেন তার সমস্ত শক্তি জোগায়। যতবার ছবিটি দেখে, ততবার তার মন আরও প্রফুল্ল হয়। অফিসের ব্যস্ত সময়েও প্রিয়ন্তিকার মুখ ভেসে থাকে তার চোখে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সে বারবার ফোন খুলে দেখে সেই ছবি, যেন এক পবিত্র আশীর্বাদের মতো তার দিনটাকে রঙিন করে তুলছে। দুপুর গড়িয়ে আসে। প্রিয়ন্তিকার আরেকটি মেসেজ আসে। নাসির জানে, প্রিয়ন্তিকা গোসল সেরে এসে তাকে ছবি পাঠাবে। সেই ভেজা চুলের ছবি, যা তার হৃদয়ে এক অব্যক্ত প্রশান্তি...

লাল শাড়ির মোহ

ডেঙ্গু জ্বরে কাবু হওয়ার পর হাসপাতালের পাঁচটা দিন যেনো একেকটা যুগের মতো কাটছিল নাসিরের জন্য। ঢাকায় থাকতে তার অসুস্থ শরীর নিয়ে সবসময় একটা অস্থিরতা কাজ করছিল, কারণ সে জানত প্রিয়ন্তিকার ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা চলছে। পাঁচটা দিন হাসপাতালে থাকার পর নাসির একটু সুস্থ হয়ে রিলিজ নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি চলে যায়।  পরের দিন সকালে নাসির ঘুম থেকে উঠে দেখে প্রিয়ন্তিকা তার শাড়ি পরা ফটো পাঠিয়েছে! সেদিন ভাইবা পরীক্ষায় থাকায় সেদিনের জন্য প্রিয়ন্তিকা শাড়ী পরেছে ফর্মাল লুকের জন্য। একটা লাল শাড়ী। যখন নাসির শাড়ি পরা ছবি দেখলো, তখন নাসিরের মন যেনো ভরে উঠল আনন্দে। কিন্তু ছবির সৌন্দর্যে তৃপ্তি পাচ্ছিল না! সে প্রিয়ন্তিকাকে সামনে থেকে দেখতে হবে এটা ঠিক করল। অসুস্থ শরীরের তোয়াক্কা না করে নাসির প্রায় ৪০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রিয়ন্তিকার ক্যাম্পাসে গেল।"পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়"  গন্তব্য ক্যাম্পাসের লেকের পারে, যেখানে গিয়ে কল দিল প্রিয়ন্তিকাকে"লেকের পারে আসো তো একটু।"  পাহাড়ি হাওয়ার মতো শান্ত একটা মুহূর্ত। সামনে এসে দাঁড়ালো প্রিয়ন্তিকা একটা লাল শাড়ি পরে, হাতে চুরি, চোখে হালকা কাজল আর কপাল...

কল্পনায় অনুভব

আকাশে নেমে এসেছে হালকা মেঘ, আর রাস্তার দুপাশে কাশফুলের সমুদ্রের মতো সাদা ঢেউ। বাতাস মাতাল হয়ে বইছে, যেন আমাদের প্রেমের গল্পেরই অংশ। প্রিয়ন্তিকা আমার পাশে, তার হাতটি আমার হাতে, আমরা যেন পৃথিবীর সমস্ত কিছু ভুলে, একে অপরের মাঝে ডুবে আছি।তার পায়ে বাঁধা নূপুরের মিষ্টি ঝংকার প্রতিটি পদক্ষেপের সাথে আমার হৃদয়ে প্রেমের সুর তুলে দিচ্ছে। সে হালকা হেসে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, মাঝে মাঝে বাতাসে তার চুল উড়ে এসে আমার মুখ ছুঁয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে মুগ্ধ চোখে দেখছি, মনে হচ্ছে পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্য যেন আজ এই এক মেয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তার প্রতিটি পদক্ষেপে যেন পৃথিবী আরও মিষ্টি হয়ে উঠছে, কাশফুলের সাদা গালিচা আর নূপুরের সুরেলা সুরে আমাদের পথটা যেন এক স্বপ্নের মতো।প্রিয়ন্তিকা হঠাৎ আমার দিকে ফিরে তাকায়, তার গভীর চোখগুলো আমার চোখের দিকে স্থির হয়ে থাকে। সে একটু মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে, "জানো, এই মুহূর্তগুলো আমি সারাজীবন মনে রাখবো। তোমার সাথে এমন এক রাত, যেখানে কাশফুল আর বাতাসে আমাদের চারপাশটা রোমান্টিকতায় ভরা।"আমি তার হাত আরও শক্ত করে ধরে বলি, "তুমি পাশে থাকলে প্রতিটা মুহূর্তই আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়...

প্রিয়ন্তিকার চিঠি, এক পৃষ্ঠায় ৩২ বার লেখা ভালোবাসি!

আজ পহেলা সেপ্টেম্বর, বিশ্ব চিঠি দিবস। এই বিশেষ দিনে ফিরে তাকাতে চাই আমার জীবনের সেই চিঠির গল্পে, যা আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। চিঠি, যা একসময় ছিল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম, আজকের ডিজিটাল যুগেও তার আবেদন একটুও কমেনি। বরং চিঠির মধ্যে যে ব্যক্তিগত স্পর্শ, যে আন্তরিকতা থাকে, তা অন্য কোনও মাধ্যমের সঙ্গে তুলনীয় নয়। আমার জীবনের এক বিশেষ মুহূর্ত চিরকাল চিঠির সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে, বিশেষত সেই চিঠির সঙ্গে, যা আমি প্রিয়ন্তিকার কাছ থেকে পেয়েছিলাম। ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর। আমার মনের গভীর থেকে উঠে আসা কিছু কথা শেয়ার করেছিলাম ফেসবুকে। লিখেছিলাম: "প্রিয়ন্তিকা, কেমন আছ? তোমার অপেক্ষায় কাটছে আমার দিন। আমার মনের ঈশান কোণে মেঘ করে আছে। কত দিন দেখি না তোমায় বলতে পারো! পাখির ডানায় ভর করে চলে এসো আমার কাছে। শোন, শরীরের যত্ন নিও, কেমন। আর অবশ্যই তোমার এই পাগলকে সময় করে চিঠি দিও। ভালো থেকো। আজ রাখছি। ইতি- তোমার ভালোবাসা। সেই পোস্টের মাধ্যমে প্রিয়ন্তিকার কাছে চিঠির জন্য এক আবেগময় আহ্বান জানিয়েছিলাম। তখন হয়তো বুঝতে পারিনি, সেই চিঠির জন্য আমাকে অপেক্ষা করতে হবে দীর্ঘ ৪৬ সপ্তাহ! ২০২১ সালের ১৩ সেপ্...

বৃষ্টির দিন, রোদ্দুরের প্রেম

আজ খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেছে নাসির। আজকের দিনটা তার জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয়ন্তিকা, যার জন্য তার হৃদয়ে এত গভীর ভালোবাসা, আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে। নাসিরের ইচ্ছে ছিল ওর সাথে একই বাসে যাত্রা করার, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সে বাস মিস করে বসে। নিরুপায় হয়ে নাসির আরেকটি বাসে চেপে বসে, মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। বাসে বসে নাসিরের মনটা এলোমেলো চিন্তায় ভরে যায়। সে জানে, প্রিয়ন্তিকার চাচ্চু সাথে আছে, তাই সে একদমই একা নয়। কিন্তু নাসিরের মন বলে, প্রিয়ন্তিকার পাশে থাকার দায়িত্বটা যেন তারই ছিল। বাস চলতে থাকে, আর নাসিরের মনের ভিতর অস্থিরতা বাড়তে থাকে। রাজশাহীর পথে বাস ছুটে চলে, নাসির জানে, ক্যাম্পাসে পৌঁছেই তাকে প্রিয়ন্তিকাকে খুঁজে বের করতে হবে, যে কোনো মূল্যেই হোক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছানোর পর নাসির দ্রুত ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। সেখানে হাজার হাজার পরীক্ষার্থী, প্রত্যেকেই যেন নাসিরের চোখের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। প্রতিটা মুখের মধ্যে সে প্রিয়ন্তিকার ছায়া খুঁজে ফেরে, কিন্তু তার মন যেন ওকে চিনে নিতে চাইছে না। শেষমেশ, সেই পরিচিত মুখটা খুঁজে পেতে তার বু...